আমি অলক। মানুষ হিসেবে আপনাদের হিসেবে আমি সমাজচ্যুত। তার উপরে আমি আমার স্ত্রীকে শারীরিক, মানসিক নির্যাতন করি নিয়মিত। তার শরীরের হাজারটা কাঁটা ছেড়া দাগ আমাকে আসলে মানুষ হিসেবে আপনাদের সামনে দাঁড় করায় না। আমার স্ত্রী রূপা। আমাদের প্রেমের বিয়ে হলেও এটা রূপার দ্বিতীয় বিয়ে। আমরা অফিস কলিগ থেকে দম্পতি। যদিও আমার জানা নেই,জয়ন্ত আর রূপার একটা কন্যা সন্তান থাকার পরেও কেন ওরা আলাদা হয়ে গেল! শুনেছি জয়ন্তের আরেকজন সন্তান আছে। কিন্তু তার মা কে আমি জানিনা। রূপা আমায় বলেনি। সে মহিলার নাম ইশিতা। এ গল্প তাঁর। অবিবাহিতা এক মা। যার পনেরো বছর বয়সের এক কন্যা আছে। সে তার বাবাকে কখনো ই দেখেনি। সেই মহিলাকে ভালোবাসে অনিক। বয়সের তফাত বছর দশকের। তার ভালোবাসা এক তরফা। যেমন তার বাগদত্তা অন্তরার,তার প্রতি অনুভব! ইশিতাকে সমাজ মেনে নেয়নি। রূপাকেও না। অনিক অসম প্রেমে পড়ে পরিবার থেকে আলাদা। আর জয়ন্ত,কিছুই জানেনা। কী অদ্ভুত সব অসামাজিক মানুষের ভীড়! সব অসামাজিক এক সাথে! এরা ভুলে যায়, সমাজ ভুলটাই দেখে, ভালোবাসা নয়!